বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শাহজাহানপুর পূর্ব থানার উদ্যোগে আজ ২৮ মার্চ, শুক্রবার সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়েছে। মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ও থানা আমীর মুহাম্মাদ শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং মহানগরীর মজলিসে শুরা সদস্য ও থানা সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আনোয়ার হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সম্মানিত নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. মোঃ হেলাল উদ্দিন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, রমাদান মাস হলো তাকওয়া ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের মাস। আজ রমাদানের ২৭তম দিন পার করছি, মাত্র ২/৩ দিন পর আমরা ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছি, কিন্তু আমাদের দেশের অনেক মানুষ আজো অনেক কষ্টে আছে। ঈদ উদযাপন করার মত তাদের অবস্থা নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠার পর থেকে অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য চেষ্টা করে আসছে। তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, এ অসহায় মানুষগুলোর সুন্দরভাবে ঈদ উদযাপন করার জন্য সরকার যেন তার জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করে। তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের পতিত স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রীর পিয়ন চারশত কোটি টাকার মালিক ছিল। একজন পিয়নের এ অবস্থা হলে বাকীদের কী অবস্থা, তা সহজে অনুমান করা যায়। সুতরাং চুরি, দুর্নীতি এবং চাঁদাবাজি বন্ধ করতে পারলে একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, সুষ্ঠুভাবে যাকাত কালেকশন ও বন্টনের মাধ্যমে এ সমাজের চেহারা পরিবর্তন করা সম্ভব। আগামীতে এ দেশের মানুষ যদি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে সরকার গঠন করার সুযোগ দেয়, তাহলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুন্দর পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে যাকাত সঠিকভাবে বন্টন করে দারিদ্র্য বিমোচন করবে ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, পবিত্র কুরআনের কারণে রমজানের গুরুত্ব বেড়েছে, সুতরাং এই কুরআনের সমাজ কায়েম করলে একটি সুন্দর সমাজ গড়ে উঠবে। রমজান মূলত তাকওয়ার ও কুরআনেরই শিক্ষা দেয়। সরকারিভাবে অসহায় মানুষের মধ্যে বিশেষ করে শহীদ এবং আহতদের আর্থিক সহযোগিতা করা প্রয়োজন।

আইন শৃংখলা উন্নয়নে সরকারের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
উক্ত প্রোগ্রামে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা জনাব মোশাররফ হোসেন চঞ্চল এবং শাহজাহানপুর পূর্ব থানার কর্মপরিষদ সদস্য জনাব আব্দুল খালেক, জনাব শাহাদাত হোসেন ও ওয়ার্ড সভাপতি-সেক্রেটারীসহ দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।