জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে যাকাতভিত্তিক অর্থনীতির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন করা হবে উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি কল্যাণমুখী ও মানবিক বাংলাদেশ গঠন করতে চায়—যেখানে ধনী-গরিবের কোনো বৈষম্য থাকবে না, দুর্নীতি-সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি থাকবে না, বিচারহীনতার সংস্কৃতি থাকবে না, বিচার ব্যবস্থায় কোনো দলীয়করণ থাকবে না।

তিনি বলেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজ থেকে যাবতীয় অপরাধ নির্মূল করতে হলে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করছে, ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এর প্রধান কারণ হলো, রাষ্ট্র পরিচালিত হয়েছে মানুষের তৈরি আইনে। মানুষের তৈরি আইনে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয় না, হবেও না। ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের মাধ্যমে সোনার বাংলা গড়তে জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কোতোয়ালী থানা এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর গণসংযোগ পক্ষের অংশ হিসেবে দাওয়াতী অভিযানে পূর্বক আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে আওয়ামী লীগ বিচারিক হত্যার শিকার করেছে। তারা জীবন দিয়েছে, তবু ভারতীয় আধিপত্যের কাছে মাথানত করেনি, দেশ বিক্রি করেনি। আগামীতেও জামায়াতে ইসলামী এদেশে ভারতীয় আধিপত্য বিস্তার করতে দেবে না। এজন্য জনগণকে জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

ড. আব্দুল মান্নান বলেন, ইসলামের দুশমনরা একেক সময় একেক রূপে আত্মপ্রকাশ করে। যেই রূপেই তারা আসুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর লড়াই অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, কথিত নারী সংস্কার কমিশন কুরআনের বিধান উপেক্ষা করে নারীদের নিয়ে সংস্কারের সুপারিশ করেছে, যেখানে নারীদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে অপমান ও অবজ্ঞা করা হয়েছে। একজন যৌনকর্মীকে শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে নারী সমাজের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।
তিনি কথিত নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাতিল করে কুরআন ও হাদীসের আলোকে নারীদের কল্যাণ ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।